২০ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত, ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার জরুরি ত্রাণ

ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকার ২০ হাজার কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই এলকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ ৩০ মে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভিয়েনা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব খবরাখবর রাখছেন। তিনি দুর্গতদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, আজ প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরুপণের পরে আরও ত্রাণ পাঠানো হবে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জানিয়েছেন, জেলায় গাছ চাপা পড়ে ২ জন নিহত হয়েছে। কেবল কক্সবাজার জেলায়ই ১৫ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মোরার আঘাতে এখন পর্যন্ত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে জেলার অসংখ্য ঘরবাড়ি; উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।

ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে জেলার কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হয় ঘূর্ণিঝড়টি। সেই থেকে অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর আসছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জয় জানিয়েছেন, এ জেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় ৪১৪টি ইউনিটের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে খাদ্য সরবরাহেরও ব্যবস্থা।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩০ মে ২০১৭