ব্যাংক খাতে বাড়ছে না আমানতের সুদহার। দেশের ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২৫টি ব্যাংকের আমানতের সুদহার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি বেসরকারি ব্যাংক, ৮টি বিদেশি ব্যাংক এবং ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে। অন্যান্য অধিকাংশ ব্যাংকের আমানতের সুদহারও ৫ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত (২০১৬-১৭) অর্থবছরের মে মাস শেষে আমানতের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গড় সুদহার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকে আমানতের সুদহার সবচেয়ে কম। এসব ব্যাংকে আমানতের গড় সুদহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের সুদহার অবশ্য ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকে আমানতের গড় সুদহার ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
আমানতে ৫ শতাংশের কম সুদ দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ওরি ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমানতের সুদহার শুধু নিচেই নামেনি, মূল্যস্ফীতি থেকেও নিচে নেমে এসেছে। যা খুবই বিপজ্জনক। এতে আমানতকারীরা ব্যাংকের আমানত রাখার ক্ষেত্রে বিমুখ হবেন। যা ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো নয়। আর মানুষের হাতে পুঁজি আটকে গেলে পুরো অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাদের মতে, পরিস্থিতির উন্নতি করতে না পারলে মানুষ বাড়ি-ঘর কেনার মত জায়গায় বিনিয়োগ করবে। কেউ ব্যাংকে আমানত রাখবে না।