অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কিছুটা কমানো হবে। সাধারণত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ব্যাংকের সুদের হারের থেকে একটু বেশি রাখা হয়। তবে খুব বেশি রাখা উচিত নয়। আমাদের সামগ্রিক একটি হিসাব হল- মার্কেট ইন্টারেস্ট রেটের থেকে কমপক্ষে ২ শতাংশ বা তার বেশি রাখা দরকার। সেই অনুযায়ী, এই রেট নির্ধারণ করা হবে।
৬ জুন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তবে এই সুদের হার কতদিনে কমানো হতে পারে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। বলেছেন, এর জন্য সময় লাগবে।
আলোচনায় অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক, রেমিট্যান্স প্রবাহ, অর্থপাচার ও কালো টাকার বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে আমানতের ওপর কর ধার্য নতুন কিছু নয়। এটা আগে থেকেই ছিল। আমি করের হারটা একটু বাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, অর্থপাচার যেটা হয় সেটা বেআইনি। সেটা বন্ধ করার সুযোগ নেই। তবে যেটা আমরা করতে পারি, তা হচ্ছে পাচারের সুযোগ কমানো। এর অর্থ হচ্ছে কালো টাকা দেশে যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা এ বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগামী মাসের মধ্যেই এটা দেখা যাবে।
রেমিটেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার রেমিটেন্স কিছুটা কমেছে। তবে রেমিটেন্স কমার বিষয়টি বাংলাদেশের একার বিষয় নয়। এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া প্রত্যকটি দেশেরই রেমিটেন্স কমেছে।
তিনি বলেন, আমি গত কয়েক বছর কালো টাকা সাদা করার কোনও প্রস্তাব নিচ্ছি না। নিয়মিতভাবে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা প্রচলিত আইনে রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থায়ী জরিমানা দিতে হয়। তা বহাল রয়েছে। গত দুই বছর ধরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই এ ব্যবস্থা চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে। অবশ্য এক্ষেত্রে বড় আকারের জরিমানা রয়েছে। ২০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়।
আগামী অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে মুহতি বলেন, এবারের বাজেট অত্যন্ত ভালো বাজেট। আমার ৮৪ বছরের যে অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা বা ব্যর্থতা সব কিছু নিয়েই এটি তৈরি করেছি।
আজকের বাজার: এসআর /এলকে /৬ জুন ২০১৭