চোখের সামনে শত শত প্রাণ ঝরে যেতে দেখেছেন মিচেল লায়ন্স।যুক্তরাজ্যের টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অফ ক্রিমিনাল জাস্টিস (টিডিসিজে) এর একজন কর্মী হিসেবে সেই সব মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেনএই নারী।
২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১২ বছর ধরে মৃত্যুকে চাক্ষুষ করাই ছিল তার কাজ। ডেথ চেম্বার বা মরণ-কুঠুরিতে নিয়ে মৃত্যুশয্যায় শেষ শয়ানে হাত-পা বেল্ট দিয়ে আটকে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির শরীরে দেয়া হয় ইনজেকশন। ইনজেকশনের সেই প্রাণঘাতী তরল কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই চিরতরে নিস্তেজ করে দিয়েছে কত নারী ও পুরুষের দেহ।
ফুসফুস থেকে শেষ বাতাসটুকু বেরিয়ে যাবার সময় তাদের কেউ হয়তো সামান্য কেশেছে কেবল। আবার কেউ হয়তো দম আটকে আসায় হাঁস-ফাঁস করেছে খুব। আর কেউ হয়তো ফুঁস করে একটা শব্দ তুলেছেন শুধু। এভাবেই বহু মানুষের বুক থেকে প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যেতে দেখেছেন মিচেল লায়ন্স।
২০০০ সালে প্রথমে এইসব মৃত্যুকে তিনি দেখেছেন পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে। আর এরপর টিডিসিজে-এর মুখপাত্র হিসেবে মৃত্যুকে সামনে থেকে পরখ করাই ছিল তার কাজ। এইসব মৃত্যুকে খুব নিকট থেকে দেখতে গিয়ে তার নিজের উপরেও গভীর প্রভাব পড়েছিল।-বিবিসি।
এই বিছানাতেই শুইয়ে কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ড
এখন ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হলেও একসময় তা করা হতো ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে। ১৯২৪ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত এভাবেই ৩৬১ জনের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। ১৯৭২ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এই আদেশের কিছু দিনের মধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনার দাবী ওঠে। এক পর্যায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই টেক্সাসে আবারো বহাল হয় মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান।
আরজেড/