একটি গবেষণা বলছে পৃথিবী সৃষ্টির আগে এটি একটি রহস্যময় পানির রাজ্য ছিল। সোমবার নেচার জিওসায়েন্সে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৩.২ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী একটি বিশাল সমুদ্র দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। যা অনেকটাই ১৯৯৫ সালে কেভিন কোস্টনার ফিল্ম ‘ওয়াটারওয়ার্ল্ড’র চিত্রিত ভবিষ্যতের মতো। ‘শুকনো জায়গা খুঁজতে খুঁজতেই পৃথিবীতে জীবনের সন্ধান পাওয়া যায়’ এমনটাই জানান, কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং গবেষণার সহকারী বোসওয়েল উইং। তার মতে, “যদি আপনি একটি সমুদ্রবেস্টিত পানিররাজ্য পেয়ে থ্যাকেন, তবে শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে না।” তথ্য সংগ্রহের জন্য, গবেষকরা উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত প্যানোরামা নামে পরিচিত শুষ্ক অঞ্চল জুড়ে একশটিরও বেশি শিলার নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জল সম্পর্কে কফি নিয়েও বিশ্লেষণ চালাচ্ছেন। সমীক্ষাটি প্রাচীন পৃথিবীর চেহারা কেমন, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করে। সিইউ বোল্ডারের উইংয়ের ল্যাবে পোস্টডক্টোরাল পজিশনের সময় এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন প্রধান লেখক বেনজামিন জনসন। তিনি বলেন, এই বিতর্কের পক্ষে আপাতত কোনো জবাব নেই। আমরা ভেবেছিলাম যে ভিন্ন কিছু চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। গবেষকরা ৩.২ বিলিয়ন বছর আগের পাথর থেকে অক্সিজেন-১৮’র পরমাণু আবিষ্কার করেছিলেন। যা এখনকার প্রাপ্ত পরমাণুর তুলনায় অনেক বেশি। তাদের মতে, মহাসাগরগুলোতে অতিরিক্ত অক্সিজেন-১৮ এতোটাই বেশি ছিল যে আইসোটোপগুলোতে কোনও মাটি সমৃদ্ধ জমি ছিল না।
আজকের বাজার/শারমিন আক্তার