৩২ ধারা নিয়ে অভিযোগ থাকলে মন্ত্রণালয়ে জানান: তথ্যমন্ত্রী

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩২ ধারা নিয়ে সাধারণ নাগরিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের কোনও অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চূড়ান্তভাবে সংসদে পাস হওয়ার আগে এটা পরিমার্জনের সুযোগ আছে। তাই এটা নিয়ে যদি কারো কোনো বক্তব্য থাকে, সেটা আমাদের কাছে দিলে আমরা এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলবো।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন- অ্যাটকোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব বথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার এ আইন মন্ত্রিপরিষদে উঠেছে। এখন এটি সংসদীয় কমিটিতে যাবে। এরপর সংসদে যাবে। তারপর চূড়ান্ত হবে। এই সময়ে সংসদের বাইরে যেকোনও নাগরিক অথবা গণমাধ্যমের যে কোনো কর্মী এবং অ্যাটকো কর্তৃপক্ষকে বলবো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো কিছু যদি আপনাদের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয় বা যদি মনে করেন ডিজিটাল এই আইনটির কোনো অংশ পরিমার্জন করা দরকার, তাহলে এ ব্যাপারে আপনারা লিখিত বক্তব্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে দেবেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করবে আইনটি চূড়ান্ত করার সময় আপনাদের প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার জন্য।’

আমি আবারও বলবো, ‘ডিজিটাল আইনটি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা, নারীদের নিরাপত্তা, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রিসভা। তারপরও আমি বলবো, এটা নিয়ে যদি আপনাদের কোনো উদ্বেগ থাকে, অবশ্যই আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। ’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিছু বৈষয়িক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে। ব্যয় কমিয়ে কিভাবে চ্যানেলগুলোকে লাভজনক করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা নিয়ে আমরা অ্যাটকোকে বলেছি সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিতে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে আপনারা দেশজ সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ করবেন। কারণ দেশজ সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এক্ষেত্রে সরকারেরও দায়িত্ব আছে। সংস্কৃতির বিকৃতি যেন না হয় সেটাও দেখবেন। একই সঙ্গে বাঙালিয়ানার চর্চা করবেন। যেন বাংলিশ না হয়। বাংলা চর্চাটা যেন ভালো হয়। এর বাইরে আমরা যেটা বলেছি যে আমাদের কিছু ঐতিহাসিক মীমাংসিত বিষয় আছে। সেটাকে স্বীকৃতি দিয়ে যেন আমরা সম্প্রচার করি।

আরেকটা বিষয় বর্জনের এবং সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, চলমান যে উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সংবিধানের যে চার নীতি আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে, মীমাংসিত বিষয় আছে। এর বিরুদ্ধে যে জঙ্গিসন্ত্রাস, আগুনসন্ত্রাস অথবা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী খুনি চক্র, সাম্প্রদায়িক চক্র এবং ধর্মান্ধ চক্র যে অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী, সংবিধান বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, তাদেরকে বর্জন করার জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আশা করি তারা এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আরও সচেতন করবেন। যাতে বাংলাদেশ নির্বিঘ্নে শাস্তির পথে, উন্নয়নের পথে এবং অসাম্প্রদায়িকতার পথে, সম্প্রীতির পথে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’

আজকের বাজার: সালি / ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮