৩৫ বছর পর সৌদিতে সিনেমা হলে ছবি দেখা শুরু

৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে সৌদি আরবে শুরু হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। গত শনিবার একটি অস্থায়ী প্রেক্ষাগৃহে শিশুদের অ্যানিমেশন ছবি দেখানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসে সৌদি আরবে প্রথম স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধন করা হবে। ছবি প্রদর্শন ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেশটিতে সংস্কারমূলক কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ঘরোয়া কনসার্ট, ফুটবল মাঠে নারীর উপস্থিতি, কৌতুক অনুষ্ঠান ও নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী স্থাপনায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করছে। সৌদির জেদ্দা শহরে একটি সাংস্কৃতিক হলে প্রজেক্টর ও লালগালিচা বসিয়ে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছে।

সপ্তাহব্যাপী এ ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ‘সিনেমা ৭০’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান মামদৌহ সেলিম রয়টার্সকে বলেন, ‘যেহেতু এখন পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহের কোনো অবকাঠামো নেই। ফলে ছবি প্রদর্শনের জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ১১ ডিসেম্বর চলচ্চিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এ প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিনেমার ওপর থেকে ৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১৩ জানুয়ারি থেকে জেদ্দায় শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শিশুদের জন্য এনিমেটেড ছবি প্রদর্শন করা হয়। শিশুরা বেশ উপভোগ করে। তবে এটি স্থায়ী হলো নয়। আগামী মার্চে হয়তো চালু হবে স্থায়ী সিনেমা হল।

সিনেমার ওপর থেকে ৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১৩ জানুয়ারি থেকে জেদ্দায় শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শিশুদের জন্য এনিমেটেড ছবি প্রদর্শন করা হয়। শিশুরা বেশ উপভোগ করে। তবে এটি স্থায়ী হলো নয়। আগামী মার্চে হয়তো চালু হবে স্থায়ী সিনেমা হল।

আশির দশকে ইসলামি চিন্তাবিদদের চাপের মুখে সৌদি আরবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বর্তমান যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দেশটিতে অনেক সংস্কারমূলক কাজ চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় ছবি প্রদর্শনীর এ ব্যবস্থা।

২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৩০০ সিনেমা হল তৈরি করতে চায় সৌদি সরকার। এসব সিনেমা হলে ২ হাজার স্ক্রিন বসানো হবে। এতে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের (৯০ বিলিয়ন রিয়াল) ব্যবসার সঙ্গে ৩০ হাজার লোকের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা হবে।
আজকের বাজার: সালি / ১৬ জানুয়ারি ২০১৮