প্রবল টানা বর্ষণে পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এ সব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। নিখোঁজদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত রাঙামাটিতে ১০৫ জন, চট্টগ্রামে ৩৬, বান্দরবানে ৯, টেকনাফে ২ এবং খাগড়াছড়িতে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে নতুন করে আরো ২২টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চারটি, ফটিকছড়িতে একটি, রাঙামাটিতে ১২টি, বান্দরবানে দুটি, খাগড়াছড়িতে একটি ও কক্সবাজারের টেকনাফে দুটি লাশ উদ্ধার হয়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে একই পরিবারের চারজনসহ মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) মো. কামাল হোসেন। ফটিকছড়ি থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও দীপক কুমার রায়।
রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন করে ১২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এর মধ্যে ভেদভেদি থেকে মা-মেয়েসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। যুব উন্নয়ন এলাকা থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে জেলার লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কামরুন্নাহার (৪৫) ও মেয়ে সুখিয়া আক্তারের (১৪) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির বর্মাছড়ি ইউনিয়নের পরিমল চাকমা নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে লক্ষ্মীছড়ি থানার ওসি আরিফ ইকবাল জানিয়েছেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৫ জুন ২০১৭