সরকারি গুদামের মজুদ কমে যাওয়া এবং স্থানীয় বাজারে দাম রেকর্ড বেড়ে যাওয়ায় ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করেছে সরকার। গত মে মাসের পর এই চতুর্থ ধাপে চাল আমদানি করা হচ্ছে।
সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হচ্ছে, এর জন্য দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে প্রস্তাব জমা দিতে হবে। চুক্তির ৪০ দিনের মধ্যে দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে চাল সরবরাহ করতে হবে।
খবরে বলা হয়, আগাম বন্যায় স্থানীয় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় এবার মজুদ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে। এরপরই সরকার চাল আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পরই চাল আমদানির এ দরপত্র আহবান করা হলো।
বাংলাদেশের বাজারে চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ার বাজারেও এ পণ্যের দর বেড়ে যাচ্ছে।
পৃথকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ ভিয়েতনাম থেকে সরকার টু সরকার পর্যায়ে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং ২ লাখ টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চাল টনপ্রতি যথাক্রমে ৪৭০ ডলার ও ৪৩০ ডলার দরে আমদানি হবে।
তবে খবরে বলা হচ্ছে, এই দর আগের যে কোনো দরপত্রে উল্লেখিত দর থেকে বেশি। বাংলাদেশ বর্তমানে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে যথাক্রমে ৪০৬.৪৮ ডলার ও ৪২৭ থেকে ৪৪৫ ডলার দরে চাল আমদানি করছে।
আগামীতে থাইল্যান্ড ও ভারত থেকেও চাল আমদানির জন্য আলোচনা চলছে।
এদিকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
আজকের বাজার:এএন/এলকে/ ২১ জুন ২০১৭