বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি মেটাতে ৫৫ হাজার টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৮ নভেম্বর বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের চিনি আমদানি সংক্রান্ত এ প্রস্তাবনা অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫৫ হাজারমেট্রিক টন চিনি আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৬৫.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে মেসার্স গ্লোবোপিউ ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড সরবরাহের কাজ পেয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের সহায়তায় এ চিনি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ১৫০ টাকা।
শিল্পমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনকে (বিএসএফআইসি) ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে মোতাবেক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়।
বিএসএফআইসি সূত্র মতে, চলতি বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ ছিল। এর মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ইত্যাদি রেশনের জন্য সংরক্ষতি রয়েছে ২০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। ফলে বিতরণযোগ্য চিনির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টনে। এ চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে সংস্থাটি
এছাড়া চলতি বছরের অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছে বিএসএফআইসি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চিনির দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারে মন্ত্রিসভা কমিটিকে জানিয়েছে বিএসএফআইসি।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ নভেম্বর ২০১৭