৫ কোটি অ্যাকাউন্ট বেহাত হওয়ার শঙ্কা

আবারো ফেসবুকে নিরাপত্তা ত্রুটি ধরা পড়েছে। এতে প্রায় পাঁচ কোটির মতো অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ত্রুটির বিষয়টি ধরা পড়ার পর সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা ব্যবহারকারীদের শুক্রবার নতুন করে লগ ইন করতে বলেছে ফেসবুক।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের ‘ভিউ অ্যাজ’ ফিচারে কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে, যা ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা। গত মঙ্গলবার ওই ত্রুটি ধরা পড়ার পর বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

নিরাপত্তা ত্রুটির খবর আসার পর পুঁজিবাজারে ফেইসবুকের শেয়ার দর ৩ শতাংশ পড়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে থাকা পাঁচ কোটি ব্যবহারকারী কোন কোন দেশের, সেই তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। তবে আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তারা ওই তথ্য দিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ফেসবুকের নিরাপত্তা প্রধান গাই রোসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওই ত্রুটি তারা শুধরে নিয়েছেন। তবে আমাদের তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে। কাজেই ঝুঁকির মধ্যে পড়া অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য আদৌ বেহাত হয়েছে কি না- তা আমরা জানতে পারিনি। এর পেছনে কারা থাকতে পারে, কোথা থেকে তারা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে- এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

গাই রোসেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা এবং তার নিরাপত্তা দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা ঘটেছে সেজন্য আমরা খুবই দুঃখিত।’

‘ভিউ অ্যাজ’ হল ফেসবুকের একটি প্রাইভেসি ফিচার, যা ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী জানতে পারেন, তার নিজের প্রোফাইল পেইজটি অন্য ব্যবহারকারীর কাছে কেমন দেখায়। ব্যবহারকারী তার ফেসবুক বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু অথবা সবার জন্য কোন কোন তথ্য উন্মুক্ত করতে চান, আর কোনটা চান না- তা ঠিক করতে এই ফিচার সাহায্য করে।

কিন্তু ওই ফিচারে এমন কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি হ্যাকাররা খুঁজে পেয়েছে, যা তাদের ফেসবুকের একসেস টোকেন চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর ওই টোকেন ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে গাই রোসেন বলেন, একসেস টোকেনকে বলা যায় ডিজিটাল কির বিকল্প। একজন্য ব্যবহারকারী যাতে সারাক্ষণ লগড ইন থাকতে পারেন, তাকে যাতে বার বার অ্যাপে পাসওয়ার্ড দিতে না হয়, সেই কাজে এটা ব্যবহার হয়।

তিনি জানান, ঝুঁকিতে থাকা সব অ্যাকাউন্টধারীকেই নতুন করে লগ ইন করানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও চার কোটি ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের ২০০ কোটির বেশি মানুষ নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন।