গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত ৫ জঙ্গির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাদের শক্তিবর্ধক ওষুধ প্রয়োগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের কাছে এ রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। ১ জুলাই শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
ঢমেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ১৯ জুন হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় নিহত ২০ জনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার হুমায়ন কবীরের কাছে রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে। জঙ্গিদের ডিএনএ এবং ভিসেরা আমরা বাংলাদেশের সিআইডি’র কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস টিম, এফবিআই ও ভারতের একটি সংস্থার কাছে পাঠিয়েছিলাম। এফবিআই এবং ভারতের সংস্থার রিপোর্ট আমাদের হাতে পৌঁছেনি। তবে সিআইডির রিপোর্ট পেয়েছি। ভিসেরা রিপোর্টে শক্তিবর্ধক কোনো ওষুধ খাওয়ার প্রমাণ মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে নিহত হয় তিন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ২০ জন। অন্যদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের এবং একজন ভারতীয়। এছাড়া জঙ্গিদের হামলার শুরুতেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। রেস্তোরাঁর ভেতরে রাতভর জিম্মি ছিলেন অন্তত ২৪ জন, যাদের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডার বোল্টে’র সময় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া রাতের বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয় আরও অন্তত ৭ জনকে। অপারেশন থান্ডার বোল্টের পর রেস্তোরাঁ থেকে ৫ জঙ্গিসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পালাতে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক রেস্তোরাঁকর্মী। এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত করছে।
আজকের বাজার: এলকে/এলকে ১ জুলাই ২০১৭