৫ বছর পর ‘বাতিওয়ালা’ নিয়ে ফিরলেন সাগর

প্রায় পাঁচ বছর পর নির্মাণে এলেন মেধাবী নাট্য নির্মাতা এসএম কামরুজ্জামান সাগর। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালে ‘দত্তা’ কাহিনীচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এরপর রাজনীতি ও ‘ডিরেক্টর গিল্ডস’র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ব্যস্ত থাকায় নির্মাণে আর সময়ে দেয়া হয়ে উঠেনি তার।

নতুন বছরের শুরুতে বিরতি ভেঙ্গে নির্মাণে এলেন আবারো তিনি। এবারও তিনি নির্মাণ করেছেন টেলিভিশন কাহিনীচিত্র। নাম ‘বাতিওয়ালা’। এটি রচনা করেছেন ফেরারী ফরহাদ। এতে চারটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রওনক হাসান, শতাব্দী ও অপর্ণা।

জয়ন্ত অভিনয় করেছেন বাতিওয়ালার চরিত্রে ও তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক। অন্যদিকে গয়না চরিত্রে অপর্ণা ঘোষ ও হারু চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদ অভিনয় করেছেন।

এখানে দেখা যাবে রওনক ভালোবাসে গয়নাকে। কিন্তু গয়নাকে একসময় সিএনজি চালক হারু বিয়ে করে। রওনক তার বাবার বাতির ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে নিয়ে জীবন ধারণ শুরু করে। কারণ সে মনে করে বাতি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। একসময় সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারায় সিএনজি চালক হারু। বাতিওয়ালা’র কাছে বাতি বানানো শিখে জীবন ধারণ শুরু করে হারু। এগিয়ে যায় ‘বাতিওয়ালা’র গর্বিত জীবনের নতুন আরেক অধ্যায়।

কাহিনীচিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাহিনীচিত্রের গল্পটা মৌলিক। সাগরকে এর আগে আমি সিনেমায় সহকারী হিসেবে পেয়েছি। এবারই প্রথম তার নির্দেশনায় কাজ করেছি। বেশ গুছিয়ে একটি মৌলিক গল্পের যথাযথ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। তাছাড়া রওনক, শতাব্দী এবং অপর্ণা তিনজনই আমার খুব প্রিয় অভিনয়শিল্পী, তারা খুউব ভালো অভিনয় করেছে।’

নির্মাতা এসএম কামরুজ্জামান সাগর জানান, শিগগিরই ‘বাতিওয়ালা’ কাহিনীচিত্রটি একটি চ্যানেলে প্রচার হবে। কাহিনীচিত্রটি প্রযোজনা করেছে ‘নেট মাল্টিমিডিয়া’।

উল্লেখ্য এসএম কামরুজ্জামান সাগর এখন পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি এবং ১৫০টিরও বেশি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন।

তার নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘ক্লান্তি’, ‘একটু রোদের ছোঁয়া’, ‘সিনেমাওয়ালা’, ‘নীরব পথের যাত্রী’, ‘রোমিওরা’, ‘হিজাব’, ‘দত্তক’, ‘আবার আসিবো ফিরে’, ‘প্লিজ হাসবেন না’ ইত্যাদি।

আজকের বাজার: সালি / ২৪ জানুয়ারি ২০১৮