৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতে আবগারি শুল্ক ১৫০ টাকা

ব্যাংক আমানতকারীদের শাপে বর হয়েছে। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে আমানতের উপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা বাড়ছে না। বরং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের হার বর্তমানের চেয়ে কমছে।

২৮ জুন বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে অর্থমন্ত্রীকে তিন স্তরে আবগারি শুল্কের হার নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে নিয়ে সে অনুসারে, কর প্রস্তাব সংশোধন করাই রীতি।

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ কার্যকর হলে ব্যাংক আমানতে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে বছরে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে। বর্তমানে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা কর দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে এটি বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

প্রধানমন্ত্রী বাজেটের ওপর আলোচনাকালে আবগারি শুল্ক বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক নিয়ে মানুষ উল্টো বুঝেছেন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় ২০ হাজার টাকার ওপর বেশি আমানত হলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়, অর্থমন্ত্রী সেটাকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্কমুক্ত করেছেন। কিন্তু, এটা নিয়ে মানুষ ভুল বুঝেছে, অপপ্রচার হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এটা পরিষ্কার করে দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি এক লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রাখার যে প্রস্তাব রেখেছেন এটা ঠিক রাখবেন, এরপরের অংকগুলোতে আরও তিনটি স্তর করবেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, এক লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা কাটা হবে, ৫ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৮০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা কাটা হবে এবং এর ওপরে যা হবে তিনি (অর্থমন্ত্রী) ঠিক করে দেবেন।

উল্লেখ, বর্তমানে ২০ হাজার টাকার বেশি স্থিতি থাকলে ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। অর্থমন্ত্রী এটি বাড়িয়ে ৮০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আমানতের স্থিতি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে আবগারি শুল্ক ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি স্থিতিতে ১৫ হাজার টাকার বদলে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আদায়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুহিত।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ২৮ জুন ২০১৭