৭ই মার্চের ভাষণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিধ্বনিত হয়েছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ ভাষণ বিশ্ব মানব সভ্যতার ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গৃহীত হয়ে বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছে। এ ভাষণ এখন আর শুধু বাঙালির নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষের। পৃথিবীর শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষেরা এ বক্তৃতা থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করবে।
বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের হাজার বছরের আকাঙ্খার প্রকাশ ঘটেছে এ ভাষণে। এ বক্তৃতার দিকনির্দেশনা নানা ভাবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সবাই মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ অন্তর্ভূক্ত হওয়া একটি অনন্য ঘটনা। ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলেই এ অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, ভূমিকা এবং দিকনির্দেশনায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।


মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।
‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উনেস্কোর ইন্টান্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্তির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কোর ৩৯তম সাধারণ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ইন্টান্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হয়।
আজকের বাজার: আরএম/ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭