৭০ লাখ মাস্ক আসবে জাপান থেকে

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাপান বাংলাদেশকে ৭০ লাখ মাস্ক বিনামূল্যে প্রদান করবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে বর্তমান প্রয়োজনীয় মাস্ক সংকট আছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, খুব শিগগিরই জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৭০ লাখ মাস্ক বিনামূল্যে প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। এই মাস্কগুলি দেশে এলে বাজারে মাস্ক এর সংকট কমে যাবে।

তিনি বলেন, দেশের সব মানুষকেই মাস্ক পড়ে বাইরে ঘোরার প্রয়োজন নেই। যাদের সর্দি, কাশি, জর আছে শুধু তারাই মাস্ক ব্যবহার করবে। যাতে তাদের কাছ থেকে কোনো ছোঁয়াচে রোগ অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে একজনও করোনা ভাইরাস রোগী নাই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্য খাতে পূর্ণ সজাগ রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের সকল নৌ, স্থলবন্দর, বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। অধিক সতর্কতার জন্য চীনের উহান থেকে বাংলাদেশে আসা চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা (আগমনী ভিসা) সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। উহান থেকে ফেরত ৩১২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারাইনটাইনে রাখা হয়েছে এবং সরকারিভাবে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চীন থেকে কেউ আসতে চাইলে তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। যারা ছুটিতে চীনে গেছেন এই মুহূর্তে তাদের আপাতত ভিসা দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনাদের অন এরাইভাল ভিসা আপতত বন্ধ। চায়না থেকে যারা ভিসা নিয়ে আসবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে হবে। গত কয়েক দিনে সাড়ে ৭ হাজার চীনা নাগরিক এসেছে। তারা নিজ দায়িত্বে নিজেদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দেশের কোথাও চীনা নাগরিক অসুস্থ হলে তা সিভিল সার্জন বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দেশে কেউ আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চীন থেকে ফেরত আনা ৩১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে দেয়া হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ