৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা মামলার শুনানি

আবেদনকারীদের  দাবি মেনে পিছিয়ে গেল অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শুরু হবে। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি কার? এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয় গতকাল  মঙ্গলবার। এ দিন বেলা ২টো থেকে শুরু হয় শুনানি। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৫ বছর পূর্তির ঠিক আগের দিন এই মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১৩টি আবেদন খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ।

২০১০-এর ৩০ সেপ্টেম্বর রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় রায় দেন ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। ওই রায়ে আদালত বলেন, অযোধ্যায় রামজন্মভূমি ও বাবরি মসজিদের ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধিত্ব করা রামলালা এবং নির্মোহী আখড়া এই তিন পক্ষের মধ্যে ওই জমি সমান ভাগ করা হবে।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, মামলার নথিপত্র পেশ করার জন্য আবেদনকারীদের কাছে এটিই শেষ সুযোগ। এর পরে আর শুনানি পিছনো হবে না। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা মামলার শুনানি ফের শুরু হবে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে পর্যাপ্ত সময়ের আর্জি জানালেন এই মামলার আবেদনকারীরা। ইলাহাবাদ হাইকোর্টে দাখিল সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের অনুবাদ ও রেকর্ড করার জন্য এই সময়ের আর্জি জানান তাঁরা।

ওয়াকফ বোর্ড ও বাবরি অ্যাকশন কমিটি-র দাবি, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বা সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি হোক। অন্যথায় এ দিনের শুনানি বয়কট করবে তারা। এর তিন মাসের মধ্যেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। ২০১১-র ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ ইলাবাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে বলেন, উচ্চ আদালতের ওই রায় বিস্ময়কর, কারণ কোনও পক্ষই জমি ভাগ করে দিতে বলেনি। এর পরের ৬ বছরেও অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে মামলার শুনানি শুরু করা যায়নি। চলতি বছরের মার্চে আদালতের বাইরে এই বিতর্কে নিষ্পত্তির কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু,তাতে কোনও পক্ষই রাজি হয়নি। এর পর অগস্টে শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের তরফে সুপারিশ করা হয়, বিতর্কিত জায়গার থেকে দূরে কোনও মুসলিম অধ্যুষিত স্থানে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হোক। তাতে আপত্তি জানায় সুন্নি বোর্ড।

এ দিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি আব্দুল নাজিরের বিশেষ বেঞ্চে ওই মামলায় ১৩টি আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়। রামলালার তরফে কে পরাশরণ, সি এস বৈদ্যনাথন এবং সৌরভ শামশেরি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানির সময় উপস্থিত থাকেন। অন্য দিকে, অল ইন্ডিয়া সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়া-সহ অন্যদের তরফে থাকেন কপিল সিব্বল, অনুপ জর্জ চৌধুরি, রাজীব ধবন ও সুশীল জৈন। সূত্র: বিবিসি, আনন্দ বাজার।

আজকের বাজার: ওএফ/এলকে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭