৯ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্পের অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯ হাজার ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ মে) এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চলতি অর্থবছরের ২৫তম একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম জোনের মহাসড়কসমূহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণের লক্ষে ৩ হাজার ৩৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন পায়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, একনেকে অনুমোদন পাওয়া ১৩ প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচের ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সরকারি তহবিল থেকে, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে আসবে ৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কুমিল্লা হয়ে বিদ্যুৎ দেশে আসবে। এ লক্ষ্যে ‘সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা) হতে কুমিল্লা উত্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কুমিল্লার উত্তরে ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এখন থেকে আর দুই এবং তিন ফসলের জমি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে কাজে লাগানো যাবে না। কেবলমাত্র এক ফসলী জমি হলে সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যেতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান কামাল।

এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের পূর্বাঞ্চলে ক্রমর্বধমান বিদ্যুৎ চাহদিা পূরণ এবং ত্রিপুরা ও আসাম হতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানরি লক্ষে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ নিশ্চিত করা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশের সবগুলো নদী বন্দর আবার চালু করতে হবে। কেননা ভারত ও নেপালের সঙ্গে যেহেতু সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, তাই নদী বন্দরগুলো করা গেলে পরিবহন খরচ কমবে এবং সড়ক পথের ওপর চাপ কমবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্প, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প, নগরবাড়ীতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদী বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, মেইল প্রসেসিং ও লজিষ্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প, আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং এ্যাসেস টু সার্ভিসেস (আইডিএ) প্রকল্প ও মধুখালি হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।

রাসেল/