৯-০, ব্যবধানটা একটু বেশিই হয়ে গেল

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কখনোই জয়ের আশা করেনি বাংলাদেশ। তবে অন্তত ভালো ফুটবল উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কৃষ্ণা-সানজীদারা। কিন্তু ‘ভালো ফুটবল’ দূরে থাক পুরো ম্যাচে কোরিয়ার মেয়েদের পেছনে পেছনেই দৌড়াল কৃষ্ণা-স্বপ্নারা।

চনবুরি স্টেডিয়ামে আজ টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৯-০ গোলের বড় ব্যবধানে। কোরিয়ান ফরোয়ার্ড কিং কিয়ং ইয়ংকে সামলাতেই হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নয় গোলের পাঁচটিই করেছেন কিম! ঢাকায় গত বছর টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে যেমন খেলেছিল, আজকের পারফরম্যান্স তার ধারেকাছেও ছিল না।

এমনিতেই শারীরিক গড়নে, উচ্চতায়, শক্তিতে, বল ড্রিবলিংয়ের দক্ষতা সবকিছুতে পিছিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই সঙ্গে রক্ষণভাগের দুর্বলতাটাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ অন্তত তিনটি গোল খেয়েছে ‘অনিয়মিত’ গোলকিপার রোকসানার ভুলে। তবে ৫৮ মিনিটে গোলরক্ষক রোকসানার বদলে যখন নিয়মিত গোলরক্ষক মাহমুদাকে মাঠে নামালেন কোচ, ততক্ষণে ৭ গোল খেয়ে বসেছে বাংলাদেশ!

ম্যাচের আট মিনিটেই বাংলাদেশের জালে দু গোল দিয়ে পার্থক্যটা বুঝিয়ে দেয় উত্তর কোরিয়া। ৩৩ মিনিটে বাংলাদেশ খেয়েছে ৪টি গোল! এরপর থেকে যখনই বক্সে ঢুকেছে গোল দিয়ে বেরিয়ে এসেছে কোরিয়া।

শক্তিশালী এই দলের সঙ্গে কখনোই সমান তালে দৌড়াতেও পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। পুরো ম্যাচে মাত্র দুবার উত্তর কোরিয়ার বক্সে ঢুকতে পারে বাংলাদেশ! এমনকি পোস্টে কোনো শটও নিতে পারেনি। কোরিয়ার গোলকিপার সন গুমের হাত থেকে একবার বল বেরিয়ে গেলেও কৃষ্ণা ও স্বপ্নার ভুল বোঝাবুঝিতে গোলের সেই সম্ভাবনাও নষ্ট হয়।

ম্যাচে কিম কিয়ং ইয়ং করেছে পাঁচটি গোল। রি সিও জিয়ং দুটি গোল করেছে। একটি করে গোল কিম উন উকে ও উন জি হুয়ার। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ জাপান। সেটিও আরও একটি কঠিন পরীক্ষা।

বাংলাদেশ : রোকসানা (মাহমুদা), শিউলি, শামসুন নাহার, নার্গিস (রতœা), মাসুরা, সানজীদা, মৌসুমী (মনিকা), মারিয়া, আঁখি, স্বপ্না, কৃষ্ণা।

আজকের বাজার: সালি / ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭