অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা ‘বেকার’, বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দেশটির ক্রিকেটারদের চুক্তি নবায়নের শেষ দিন ছিল ৩০ জুন শুক্রবার। তবে দেশটিতে এখন দিন গড়িয়ে রাত হয়েছে। আজকের মধ্যে চুক্তি বা সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। ফলে আগামীকাল থেকে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কার্যত বেকার হয়ে যাবেন।

এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে দেশটি ক্রিকেটারদের সংগঠনের (এসিএ) বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তৈরি হওয়া এই অনিশ্চয়তার ছোঁয়া লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশে ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট সূচিতেও।

কারণ আসছে ১২ জুলাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে ‘এ’দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’দলের একটি সিরিজ শুরুর কথা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজ উপলক্ষ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনীষ পাণ্ডেকে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদেরও সোমবার রিপোর্ট করার কথা।

এর পরই আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া মূল দল টেস্ট খেলতে আসবে বাংলাদেশে। তবে দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তির অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশে মূল দল আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

অস্ট্রেলীয় সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ১০ আগস্ট অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ডারউইনে সমবেত হওয়ার কথা। সেখানে অনুশীলন শেষে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে অসিদের।হাতে দেড় মাস সময় হাতে থাকলেও এই সফর নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

খবরে বলা হয়েছে, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি না হলে খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বদলে ঘরোয়া লীগগুলোতে খেলবেন। আগামী ৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে ক্যারিবীয় লীগ সিপিএল।চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অথচ এই সময়টাতেই বাংলাদেশে আসার কথা অসিদের।

তাই চুক্তির বিষয়ে এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে বাংলাদেশ সফর বাদ দিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা সিপিএল খেলতে চলে যেতে পারেন বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ, ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল। এরপর ১০ বছরের বেশি সময় পার হলেও টেস্ট র্যাং কিংয়ের সামনের কাতারের দলটির বিপক্ষে আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি টাইগারদের।

২০১৫ সালের অক্টোবরে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুইটি টেস্ট খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু সেবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ইস্যু করে সে সফর বাতিল করে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

এরপর দেশের মাটিতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। সে টুর্নামেন্ট থেকেও নিজেদের দল প্রত্যাহার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদাহরণ তৈরি করে বাংলাদেশ।

ওসব টুর্নামেন্ট এবং সিরিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে বার বার অস্ট্র্রেলিয়াকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছিল বিসিবি। অবশেষে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৩০ জুন ২০১৭