ই-বাণিজ্যে সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। ২০১০ সালে শুরু পর থেকেই ই-কমার্স ব্যবসা বাংলাদেশে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে তরুণ প্রজন্মের অনেক উদ্যোক্তা ই-কমার্স ব্যবসায় নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপরেখায় সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার মনোযোগী হাতে নেওয়া হয়েছে ই-সার্ভিস রোডম্যাপ-২০২১। ই-সার্ভিস রোডম্যাপ বাজেটে আইসিটি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। সর্বক্ষেত্রে ই-গবর্নেন্স এবং ই-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই টাকা ব্যয় করা হবে।
তথ্য মতে, ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (ই-কমার্স বা ই-বানিজ্য ) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়- বিক্রয় বাংলাদেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ১ শ’র বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বেশ সাড়া যুগিয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল অনেক দেশ ই-কমার্সে উদাহরণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবছর দ্রুত বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ। ২০১০-১১ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্সে মোট ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা। এর পরের বছর ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি হয়ে থাকে। বর্তমান প্রবৃদ্ধিও শতভাগের উপর।
ইউএনসিটিএডি এক গবেষনায় বলা হয়েছে- উন্নয়নশীল দেশগুলোর ই-কমার্সে যুক্ত হওয়ার দারুণ সুযোগ এখন এই ক্ষেত্রটি থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ এখন দ্রুত বাড়ছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্স সেবার মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের চাহিদা পূরণ করতে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। যত দিন যাবে ই-কমার্স ততই বৃদ্ধি পাবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য কিনে প্রতারণা শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। এজন্য একটি কার্যকর নীতিমাল প্রয়োজন।
অনলাইন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্টল ডট কমের পরিচালক মহিউদ্দিন তুষার জানান, সাশ্রয়ী, সহজ এবং সময় বাঁচাতে সাধারণ মানুষ ই-কমার্সে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে সরকারের নজরদারি জরুরি। সরকার আইসিটি খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে, ই-কমার্সের প্রণোদনা সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা-মনিটরিং থাকা প্রয়োজন।
দেশের যুবদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার আহবায়ক ও ই-ক্যাব উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক এমপি জানান, সরকারের ডিজিটাল বাংলোদেশের রুপরেখা পুরোপুরি বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল অর্থনীতি এগিয়ে নিতে ই-কমার্স সম্ভাবনাময় খাত। ই-কর্মাস খাতকে এগিয়ে নিতে আইসিটি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেওয়া হচ্ছে নানা ধরণের প্রণোদনা।
তিনি জানান, ই-কর্মাস বাণিজ্যের ধারণা দেশের শিক্ষিত য্বু সমাজ ভালো ভাবে নিয়েছে। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা স্থায়ীভাবে ই-কর্মাস বাণিজ্যে আসতে শুরু করেছে। খাতটিকে আইনি কাঠামোয় শৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে সরকার কাজ করছে।
আজকের বাজার: সালি / ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭