আকাশ পথে দেশে ফিরতে চান না স্বর্ণা

বিমানে বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত কামরুন্নাহার স্বর্ণাসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে ছাড়পত্র দিয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল।

বৃহস্পতিবার ১৫ মার্চ ছাড়পত্র পেয়ে চিকিৎসকদের সড়ক পথে বাংলাদেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন স্বর্ণা। কেএমসি হাসপাতালের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের কো-অর্ডিনেটর ড. রাজিভ রাজ মানান্দার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর তাদের পাসপোর্ট খুঁজে না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট তৈরি করছে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।

ড. রাজিভ রাজ মানান্দার বলেন, ‘স্বর্ণার পরিবারের অন্যরা বিমানে ভ্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বর্ণা বিমানে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছে। সে সড়কপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে। আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তার শরীরের অবস্থা সড়কপথে ভ্রমণের উপযোগী নয়।’

তিনি আরও বলেন, তার পরিবার প্লেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করছে। টিকিট হাতে পেলে শুক্রবার তারা দেশে ফিরতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করছি।

গত সোমবার, ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

আরএম/