চাঁদপুরে মধ্য রাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে নেমেছে জেলেরা

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে নদীতে মাছ ধরতে নেমছে চাঁদপুরের জেলেরা।
গত কয়েকদিনে জেলেরা নদীতে নামতে জাল ও নৌকা মেরামত এর কাজ শেষ করে সকল প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন।এখন গত রাত থেকে নদীতে নেমে পড়েছেন ইলিশ শিকারে। তাদের মনে আনন্দের বন্যা বইছে। গত দুই মাস তারা অবসর সময় কাটিয়েছেন, অবশ্য এর মধ্যে দুইমাস সরকারি ভিজিএফএর প্রতিজন ৪০ কেজি চাল পেয়েছে নিবন্ধিত ৫১ হাজার জেলে।
এদিকে সরকার ঘোষিত দুই মাস অভয়াশ্রম কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। এরপরেও কিছু অসাধু জেলে নদীতে নেমে জাটকা নিধন করেছেন। তাই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছিলো।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, এ বছর মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাসের অভিযানে ইলিশ অভয়াশ্রমে জাটকা ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ আইন বাস্তবায়নে জেলায় মোট ৫৭৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৯৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৬৭টি মামলায় ৩১০ জন জেলেকে কারাদন্ড এবং ৪৫০ জন কিশোর জেলের কাছ থেকে ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত অভিযানে ৩৮ মেট্রিক টন ৬৫৭ কেজি জাটকা জব্দসহ ৪১০ লাখ ৮০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৭৮টি অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়। জালের আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার টাকা। অভিযানে ৩১ টি জব্দকৃত নৌকা নিলামে বিক্রি করে সরকারের আয় হয়েছে ১১ লাখ ৪ হাজার ১৮১ টাকা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, জাটকা রক্ষার কর্মসূচি সফল হওয়ায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত ছিল। জেলা ট্রাস্কফোর্সের সব সদস্য এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছিল নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে। শুক্রবার রাত ১২ টার পর থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণে জেলেদের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই রাতেই তারা নদীতে নেমে পড়েছে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ শিকারে।